1. [email protected] : ekhonisomoy :
  2. [email protected] : facfltd :
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ জেদ্দার ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ - এখনই সময় টিভি
May 21, 2025, 10:35 am

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ জেদ্দার ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • Update Time : Saturday, May 11, 2024
  • 169 Time View
ছবি- এম হোসাইন (সৌদি) জেদ্দা প্রতিনিধি

বাংলাদেশ সৌদি এ্যামবাসি কতৃক পরিচালিত ,বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা। স্বল্প আয়ের কিছু মানুষ পারিবার পরিজন নিয়ে সৌদির জেদ্দায় থাকেন বাংলাদেশের কিছু নাগরীক। সেখানে গড়ে উঠেছে বাঙ্গালী স্কুল এ্যান্ড কলেজ ইংরেজি ও বাংলা মাধ্যম। যা পরিচালনা করে বাঙ্গলীরাই ।

অভিবাভোকরা প্রশ্ন তুলেছেন এই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার মান নিয়ে । অভিযোগ রয়েছে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষকদের অসদাচরণ , হুমকির মুখে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ ,অসহায় গার্ডিয়ানরা । বেশির ভাগ শিক্ষক শিক্ষিকা ট্রেনিং প্রাপ্ত নয়। শিক্ষক গুলো একটা মাফিয়া চক্র সমতুল্য এখানে অবস্থানে করছে । ছাএ ছাত্রীদের উপর চাপ প্রয়োগ করছে, স্কুলের ভালো শিক্ষকদের বাদ দিয়ে একটা শক্তিশালী কুচক্র মাফিয়া গুরুফ মাধ্যমে পাঠ দান করাচ্ছেন। যেটা ছাএ ছাত্রীদের জন্য খুবই ভয়ানক অবস্থা।

বাচ্চারা শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে, তাদের আলাদা চোখে দেখেন শিক্ষাকরা। সরাসরি প্রাইভেট এর জন্য চাপ দেন, স্কুলে সিস্টাম তৈরি করে রেখেছে যাতে ছাএ ছাত্রিরা প্রইভেট পড়তে বাধ্য হয়। অধিকাংশ শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে হোমওয়ার্ক দিয়ে দেয় এবং স্টুডেন্ট- রা জিজ্ঞেস করলে মারমুখী হয়ে উল্টো প্রশ্ন করে।

সঠিক সিলেবাস সম্পর্কে ধারণা না দিয়ে,পরিক্ষা নিয়ে থাকেন। এমন কি টিউশন ফি, সাথে অনেক ধরনের চার্জ নিয়ে থাকে যেটা সম্পর্কে কোন মিল থাকে না বাস্তবতার। অভিবাকরা জানতে চাইলে উলটো মেজাজ দেখান শিক্ষকরা।

একজন ছত্রীর গার্জিয়ান গণমাধ্যমকে বলেন-
শিক্ষকদের সাথে বাচ্চাদের লেখাপড়া দুর্বলতা বিষয়ে জানতে চাইলে, উল্টো বাচ্চাদের দোষ দিয়ে গার্ডিয়ানের মুখ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বাচ্চাদের ইনসাল্টিং করে মুখ ভেংচি দিয়ে অপমানিত করে অন্য বাচ্চাদের সামনে।

অভিযোগ রোয়েছে,
অনেক ছাত্রীদের যৌন হয়রানির করেছে কয়েকজন শিক্ষক। ছাত্রীদের হুমকি প্রধান করেছে, মুখ খুল্লে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একজন ৯বম শ্রেণীর ছাত্রী গনমাধ্যমকে বলেন, স্যার আমাদের গায়ে হাত দেন এমনকি কূ-দৃষ্টিতে তাকান । তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বলেন। এবং ক্লাশ শেষ হওয়ার পরে দেখা করতে বলেন । স্যারের কথা না শুনলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন।

যে স্কুলটির কথা বলছি “বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা”। স্কুলটির চেয়ারম্যানে – মুকুল ,প্রিন্সিপাল – হুমায়ুন কবির । ইস্কুলটির দুটি শাখা রয়েছে। বাংলা ও ইংলিশ ভার্শন জেদ্দা নজলা ( কিলো ৩) বাংলাদেশ এম্বেসির পিছনেই এর অবস্তান।

অভিযোগ রোয়েছে স্কুলের শিক্ষক নিয়োগ এবং বাতিলে ব্যাপক অনিয়ম। স্কুলের সার্বিক বিষয়ে চেয়ারম্যানের – মুকুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। একই বিষয়ে প্রিন্সিপাল – হুমায়ুন কবির কে প্রশ্ন করা হলে তিনি গণমাধ্যমে সাথে কথা বলতে অপ্রগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন আমি চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারবো না। আপনারা চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে পারেন।

স্কুলের কয়েকজন ছাত্র ছাত্রীর গর্জিয়ান গণমাধ্যমকে – স্কুলের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ এনে বলেন এখান কার সকল শিক্ষিকা গুলো এই স্কুলের শিক্ষকদের গৃহীনী, সালমা – প্রিন্সিপালের গৃহীনী,ফোরকান, জসিম, সৌকত, ইকবাল, অংকের শিক্ষক তাদের কাছে প্রাইভেট না পড়লে পরিক্ষা ছাএ ছাত্রীদের ফেল করিয়ে দেন। এবং এখানকার কোন শিক্ষকই ট্রেনিং প্রপ্ত নয়। প্রধান শিক্ষকের এ চেয়্যারে বসার কোন যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন।

আমরা এখানে স্বল্প আয়ে কাজ করি, পরিবার পরিজন নিয়ে কোন রকম আছি ,বাবা মার পরই স্কুলের শিক্ষকরা ই বাচ্ছদের গার্জিয়ান সেখানে যদি এরকম আচরন হয়ে থাকে তা হলে আমরা কোথায় যাবো কি ভাবে টিকে থাকবো।

আমরা বাংলাদেশের সৌদি এ্যাম্বাসিতে অভিযোগ দেওয়ার পরেও কোনো প্রতিকার পাইনি। তাই বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই আবেদন, এই স্কুলের সমস্যা গুলো যেন সমাধান করে দেন। মাননীয় প্রধান মন্ত্র‌ী শেখ হাসিনা ছাড়া আমাদের আর কোন পথ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved
Theme Customized By LiveTV