সাম্প্রতিক সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সমালোচিত এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসটি নিয়ে বেশ বিতর্ক উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসটির প্রতিটি কাবার ভ্যান বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কে প্রতিহত করার কাজে ব্যবহুত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেহেতু এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসটি মালিক সামসু উদ্দিন রিয়াদ সেনবাগ সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের ভিপি ও নোয়াখালী আওয়ামীলীর সদস্য ও আওয়ামীলীগের অর্থের যোগানদাতা। সেই সুবাধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের যৌক্তিক কোটা আন্দোলনে আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগ,যুবলীগ সন্ত্রাসীদের লাঠি ও অস্ত্র বহন কাজে প্রতিনিয়ত নিয়োজিত ছিলো তার এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসটির প্রতিটি কাবার্ড ভ্যান।
খবর নিয়ে জানা যায়, এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসটির মালিক নিজে একজন আওয়ামীলীগ নেতা ও অর্থের যোগানদাতা। ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতা আসার পর থেকে কোনো দিকে তার তাকাতে হয়নি পুলে ফেঁপে হয়েছে শতকোটি টাকার মালিক।প্রতারক রিয়াদ সরকারী সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে মামলা খাওয়ার পর ও আওয়ামীলীগের তিন হেবিওয়েট নেতার চত্রছায়ায় দিন কে রাত করে ফেলেছেন বলে ও অভিযোগ উঠেছে। হেবিওয়েট তিন নেতা হলেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও শেখ সেলিম এমপি ও নোয়াখালী মোর্শেদ আলম এমপি । কুরিয়ার সার্ভিসটির মালিক রিয়াদ নোয়াখালী আওয়ামীলীগের জাল ভোটে নির্বাচিত এমপি মোর্শেদ আলমের সহযোগিতায় এলাকায় অপরাধের একক রাজত্ব কায়েম করছেন। রিয়াদের এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের অর্থের যোগানদাতা ছিলেন বহুল সমালোচিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম। জাহাঙ্গীর আলম রিয়াদের বন্ধু বলে ও জানা যায়।
রিয়াদ ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের অসংখ্য বেকার যুবককে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ঢাকা নিয়ে এসে ব্ল্যাঙ্ক চেক নিয়ে চাকুরী দিতেন ।চাকুরীতে যোগদানের কয়েকদিন যেতে না যেতে রিয়াদ ঐ চেক দিয়ে ব্লাকমেইল করে মোটা অংক বসিয়ে মামলা দিতেন।রিয়াদের প্রধান সহযোগী ছিলেন গোপালগঞ্জের কেদ্রীয় যুবলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য শেখ গিয়াস উদ্দিন ।গিয়াস উদ্দিনের মাধ্যমে অসৎ কিছু পুলিশ কর্মকর্তা হাতে রেখে টাকা আদায় করতেন বলে ও অভিযোগ আছে। রিয়াদের ক্ষমতা এতো বেশী ছিলো যে যার জন্য ভুক্তভোগিরা মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে বাঁচতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা টেলিভিশনে রিয়াদের বিরুদ্ধে অসংখ্য নিউজ প্রচার হলেও ভুক্তভোগিরা তার কোনো বিচার পায়নি।
প্রশাসন তার বিরুদ্ধে মামলা ও নেয়নি।
সুধু রাজধানীতে নয় রিয়াদের দাপটে নিজ এলাকায় বিএনপি ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীদের থানায় টাকা দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেন বলেও সত্যতা পাওয়া যায়। রিয়াদ সারাদিন অফিস করলেও সন্ধ্যার পর রিয়াদ হাজির হতেন ধানমন্ডি আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে ।আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে আড্ডা মাস্তিতে রাত পার করতেন রিয়াদ। অভিযোগ আছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোহাম্মদপুরে ছাত্রদের প্রতিহত করার জন্য রিয়াদ সাবেক এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক’কে ৫০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বনানীতে ছাত্রদের প্রতিহত করার জন্য শেখ সেলিম কে ৫০ লক্ষ টাকা ও নোয়াখালিতে ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করার মোর্শেদ আলম এমপি’কে ৩০ লক্ষ নোয়াখালী জেলা যুবলীগ নেতা বাবুকে দিয়েছেন ১০ লক্ষ ও স্থানীয় থানা পুলিশ কে দিয়েছে ৫ লক্ষ ও যুবলীগ ছাত্রলীগ কে দিয়েছেন ৫ লক্ষ ।এমন অভিযোগের সত্যতা ও পাওয়া গেছে।
আন্দোলনের প্রতিটি মহুর্তে এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার ভ্যান গুলো ছিলো যুবলীগ ছাত্রলীগের পাশে ছাত্রদের আঘাত করার জন্য অস্ত্র ও বাঁশের কন্সি ভরা লোড ছিলো এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসের কাবার্ড ভ্যান গুলো। সর্বশেষ সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় যখন বন্যার কারনে তলিয়ে গেছে অনেক বাড়িঘর ও নিজ বসতভিটা ঠিক সেই সময়ে সারাদেশেক অসংখ্য পেশাজীবি মানুষ ছুটে আসছেন বন্যার্তদের সহযোগিতায়। অন্যদিকে ত্রান গুলো ফেনীসহ বন্যা কবলিত জেলা গুলোতে পৌছাতে কাবার ভ্যানের জন্য প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে ।
সেই সুবাদে এজে কুরিয়ার সার্ভিসের কয়েকটা কাবার ভ্যান বন্যার্তদের খাবার গুলো পৌছে দেওয়ার জন্য ভাড়া চাইতে গেলে তারা মুখের উপর দিয়ে না করে দেয় বলা হয় মালিরের নির্দেশ আছে বন্যার ত্রাণ সামগ্রী এজেআর কুরিয়ার সার্ভিসে নেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন ছাত্র।
কুরিয়ার সার্ভিসটির মালিক সরকার দলীয় স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ায় এই ধরনে মানবিক কাজে ও দুরে সরে গেছে।
এজে কুরিয়ার সার্ভিসের এমডি রিয়াদের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা বললে তারা জানান,স্বৈরাচার হাসিনার মতো যারা মানবিক কাজে যে প্রতিষ্ঠান দেশের বন্যা কবলিত মানুষকে সহযোগিতা করতে রাজি হয়না তাদের স্বাধীন দেশে ব্যবসা করতে দেওয়া উচিত নয় বলে তারা চাপ জানিয়ে দেন। এবিষয়ে রিয়াদের কাছে জানতে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে একাধীক বার ফোন দিলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।