1. [email protected] : ekhonisomoy :
  2. [email protected] : facfltd :
সাবেক কর কমিশনের কর্মকর্তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় - এখনই সময় টিভি
May 10, 2025, 6:44 am

সাবেক কর কমিশনের কর্মকর্তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়

Reporter Name
  • Update Time : Monday, July 17, 2023
  • 246 Time View

সাবেক কর কমিশনের কর্মকর্তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড়

রিপোর্টার
উজ্জল

আলতাফ হোসেন সাবেক সরকারি কর কর্মকর্তা।
চাকুরী করতেন বাংলাদেশ কর কমিশন কার্যালয় বর্তমানে অবসরে রয়েছেন তিনি অবসরের পূর্বে তিনি ছিলেন কর কমিশনের এসিস্ট্যান্ট কাস্টমস কমিশনার।
ঢাকার সেগুনবাগিছা চাকরি কালীন সময় বিভিন্ন জায়গাতে পোস্টিং হয়েছে তার, চট্টগ্রাম পোর্ট,বেনাপোল, ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বংশাল কর কমিশন কার্যালয়,অভিযোগ রয়েছে এই সময় তিনি ব্যাপক পরিমানে দুর্নীতি করে বৈধ আয়ের বাইরে ব্যাপক অর্থ উপার্জন করেছে আলতাফ হোসেন । রাষ্ট্রীয় অর্থ নিজের মনে করে করেছে লুটপাট ।
স্ত্রী সন্তানদের নামে বেনামে জমি কিনেছে নিজ গ্রামে ও ঢাকাতে।
তার স্থায়ী এলাকার চা দোকান থেকে শুরু করে সকল লোকজন তাকে ঘুষখোর আলতাফ নামেই চেনেন, এলাকার মসজিদ কমিটি থেকে তাকে বের করে দেয় বল্লেন তারই এলাকার একজন।
আমাদের হাতে আসা তার কয়েকটি জায়গা দাগ নম্বর – ৩৪/১৪,৩/৮, ২১, ৮২৬, ৩৪/১৫, কদমতলী ঢাকা।
সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতন পান প্রথম শ্রেণী থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অথচ সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। এক শ্রেণির কর্মকর্তারা বনে যাচ্ছেন কোটিপতি। বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ার পাশাপাশি মালিক হচ্ছেন প্লট, ফ্ল্যাট, মার্কেট ও খামারবাড়িসহ নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড়।
অভিযোগ রয়েছে- দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ পথে উপার্জন করেও নিজেকে কলুষমুক্ত রাখতে অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতেন আলতাফ হোসেন, বলছে সংশ্লিষ্টরা।
রাজধানীতে একমাত্র মেয়ের জামাই কে ১০ কোটি টাকা ব্যায়ে করে দিয়েছে কমিউনিটি সেন্টার ।
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্টরা বলছে- বিগত ১০-১২ বছর সময়ের মধ্যেই এই কর্মকর্তা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে। যা দেশের বিভিন্ন মহলে এখন বেশ আলোচিত। বড় পদে চাকরি করেও ঋণ করা ছাড়া যেখানে একটি বাড়ির মালিক হওয়া যায়না। সেখানে কীভাবে এ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে।

তবে আশ্চর্যের বিষয়— অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের তৎপরতাও খুবই কম। কয়েকটি ঘটনা থেকে দেখা যায়, উচ্চ আদালতের নজরে এলে ও আদালত থেকে নির্দেশ দিলেই কেবল কিছু ঘটনার তদন্ত হয়, ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াও জোরদার হয়। অন্যথায় এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজির খুবই নগণ্য।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরও নিজ দপ্তরে যেন তাদের জবাবদিহিতার বালাই নেই।
আর সরকারের যেসব প্রতিষ্ঠান
বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্বে রয়েছে-
তারা এই শ্রেণির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে উদাসীন। যে কারণে অনিয়ম-দুর্নীতি বেড়েছে অতীতের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন- সাধারণ যারা তাদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নেয় না বিষয়টি এমন নয়। দুদকে অসংখ্য অভিযোগ আসে , এ সংক্রান্তে দুদকের একটি কমিটিও আছে। সেই কমিটিতে অভিযোগ গুলো পর্যালোচনা করে দেখা হয় দুদকের আইনের আওতায় আসে কি-না। সে হিসেবে গুরুত্ব বুঝেই তদন্ত করা হয়।
সম্পদের বিষয়ে তিনি বলেন- যেকোনো কর্মকর্তা পারিবারিক ভাবে সম্পদের মালিক থাকতে পারেন।
যারা পারিবারিক ভাবে সম্পদশালী নয় তারাও সম্পদ অর্জন করতে পারে। সেটি অপরাধ নয়। তবে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করাটাই অপরাধ।
উপরিক্ত বিষয়ে আলতাফ হোসেনের মুঠো ফোনে কয়েক বার ফোন করে ও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved
Theme Customized By LiveTV