সাম্প্রতিক কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়ন এর মুগসাইর গ্রামের আওয়ামীলীগের পৃষ্ঠপোষক লেবাজদারী হুন্ডি ব্যবসায়ী দুলালের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার শফিক এর পরিবার সহ অসংখ্য নিরীহ পরিবার। স্বৈরাচার ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে সক্ষতা তৈরি করে অবৈধ উপায়ে হুন্ডির মাধ্যমে কামিয়েছেন শতকোটি টাকা।গাজিপুর সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিনেছেন অসংখ্য ফ্লাট ও প্লট যার কোনো হদিশ নেই।
গত ৫ আগষ্ট ২৪ ইং আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামীলীগের লেবাজ পরিবর্তন করে জাতীয়বাদী দল বিএনপি নেতা-কর্মীদের সাথে সক্ষতা গড়ে নিজ গ্রামের অসহায় নিরিহ মানুষের কাছে চাঁদা দাবী করছেন দুলাল। চাঁদা না পেয়ে গত ৬ আগষ্ট ২৪ ইং অনেকের বাড়িতে এবং মার্কেটে সন্ত্রাসী হামলা লুটপাট করছেন দুলাল ও তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনীরা।
গত ৬ আগষ্ট মঙ্গলবার দুলাল স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারে দলীয় সুবিধাবাদী নেতাকর্মীদের মতো নিজ গ্রাম মুগসাইরে ইঞ্জিনিয়ার শফিক সাহেবের পরিবারের ছয়(৬) ভাইবোনের মধ্যে ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খাইরুল ইসলাম মিনহাজের বাড়িতে হামলা করে।মিনহাজ ঢাকায় ব্যবসা করা কালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন কাইসিস মহুর্ত যেমন করোনা কালীন সময়ে গ্রামের অসংখ্য অসহায় নিরিহ মানুষকে নগদ অর্থসহ ত্রাণ দিয়েছেন।দলমত নির্বিশেষে খাইরুল ইসলাম মিনহাজ গ্রামের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন।উপকার ছাড়া খাইরুল এর মাধ্যমে কারোর কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে ও প্রমান পাওয়া যায়নি।খাইরুল এর ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম অনিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একাধিক প্রোগ্রামে লোকজন নিয়ে অংশগ্রহণের পাশাপাশি আর্থিক অনুদান ও দিয়েছেন।
অভিযুক্ত দুলাল হুন্ডি ব্যবসায়ী নামে সকলের কাছে পরিচিত ! হুন্ডি ব্যবসায়ের আড়ালে দুলাল বিদেশি বায়ারদের কাছে থেকে মসজিদ,মাদ্রাসা ও এতিম খানা নির্মাণের বিপুল অর্থ আর্তস্বার্থ করেছেন বলে ও অভিযোগ আছে।দুলাল বর্তমানে বিএনপির নেতা কায়কোবাদ এর পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে গ্রামের লোকদের ভয়ভীতি দেখায়।বিএনপির জনপ্রিয় নেতা কায়কোবাদের মানহানি ক্ষুন্ন করছেন বলে গ্রামের অনেক লোকই জানিয়েছেন ।দুলাল তার ভাইয়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসী এবং চিহ্নিত ডাকাতদের কে দিয়ে ৬ আগস্ট ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের বাড়িতে হামলার লুটপাট এবং ভাঙচুর এবং স্বর্ণ অলংকার ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে সব নিয়ে যায়।
এর ঘটনার দিন গ্রামবাসী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।পরভর্তিতে সেনা বাহিনী ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার পরপরই দুলাল ও তার ভাই পালিয়ে যায়। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ এবং আর্মিদের পরার্মশ নিয়ে ইঞ্জি শফিক সাহেবের ছোট ভাই আমিরুল ইসলাম কুমিল্লা কোর্টে ১৩ অগাস্ট একটি মামলা দায়ের করে এতে দুলাল জানতে পেরে আর বাড়ির দুই একটা জানালা ভেঙ্গে এবং নাটক সাজিয়ে তার পরিবারের লোকজনকে মুরাদনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ভুক্তভোগী ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের নামে পর মামলা দায়ের করেন।
শফিক সাহেবের বাড়িতে হামলার বানোয়াট ঘটনা সাজিয়ে একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করে ১৯ আগস্ট। বিবাদী করা হয় ইঞ্জি শফিক সাহেবসহ ৩ ভাই ও গ্রামের অসংখ্য মানুষ যারা বিগত ২০-৩০ বছর বিনপির সাথে দলীয় পদ পদবী নিয়ে জেল জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ।