বিশ্বের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থা বাংলাদেশে-এমনটি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগের সময় এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে আমরা দুর্দান্ত কিছু অর্জন করতে পারি।’ বেইজিংয়ে ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য, ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী চীনা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের মূল খাতগুলো বিবেচনা করার জন্য উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের অবকাঠামো, জ্বালানি এবং লজিস্টিক খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই।’ তিনি আইসিটি, পর্যটন, কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং উন্নয়ন খাতেও বড় পরিসরে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
চীনে ৪ দিনের দ্বিপাক্ষিক সফরের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দূতাবাস, বিআইডিএ, বিএসইসি ও সিসিপিআইটি চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইং, শাংরি-লা সার্কেল এ সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়েছে। এ সফরে আজ স্থানীয় সময় বিকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। রাতেই ঢাকায় ফিরছেন তিনি।
পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কাল সকালে তার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল। সে সময় এগিয়ে আনা হলেও অন্য সব কর্মসূচি অপরিবর্তিত রয়েছে। চীনের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স লি ফেই, চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওয়াং টংঝু, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং, হুয়াওয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত-উল ইসলাম। বাংলাদেশ ও চীনের কয়েকশ ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা এ সম্মেলনে অংশ নেন। সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি চীনা বিনিয়োগের উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাতে। জলবায়ু-সহনশীল স্মার্ট ফার্মিং কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে সহযোগিতার সুযোগ উন্মুক্ত করে। আমরা তিনটি বিশেষ পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করছি যেখানে চীন রিয়েল এস্টেট এবং আতিথেয়তা খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। আমি চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ অন্বেষণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।