কাগমারী সম্মেলনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশে দৃঢ় কণ্ঠে ‘আসসালামু আলাইকুম’ উচ্চারণের মাধ্যমেই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া বৈষম্য ও শোষণ নীতিবিরোধী আন্দোলনই পরবর্তীতে স্বাধীনতা যুদ্ধে রূপ নিয়েছিল- বলে দাবি করেছেন ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ এনসিবি’র চেয়ারম্যান কাজী ছাব্বীর। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা কাজী ছাব্বীর আরও বলেন, ১৯৫৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে। এতে ৫৪টি তোরন নির্মাণ করা হয়। প্রথম তোরনটি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নামে নামকরণ করা হয়। অন্যান্য তোরন গুলো বিশ্বের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যাদের অবদান ছিল তাদের নামে নামকরণ করা হহয়েছিল। মওলানা ভাসানী সব সময়েই গণতন্ত্র ও কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানী শাসকের বিরুদ্ধে রাজপথে লড়াই সংগ্রাম করেছিলেন। কখনও ক্ষমতায় যাওয়ার প্রত্যাশা করেননি তিনি। দুনিয়াবি কোন প্রকার লোভ লালসা তাকে গ্রাস করতে পারেনি। মানুষের অধিকার আদায়ই ছিল তার মূল লক্ষ্য।
১৯৫৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি কাগমারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিল একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ জাতীয় সম্মেলন। ইহাই পরবর্তীতে পাকিস্তানের বিভক্তিকরণের মাধ্যমে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল। কাগমারী সম্মেলনের তাৎপর্য বিশ্লেষণে সুষ্পষ্টভাবে প্রতীয়মান যে, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীই ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে বিগত দিনে মওলানা ভাসানীর অবদানের কথা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাই প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের প্রত্যাশা স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবে মওলানা ভাসানীকে স্বীকৃতি দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরবে সরকার।