সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় কু-চক্র মহলের অপ-প্রচারের স্বীকার হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাবেক সফল মহাসচিব খন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খন্দকার আক্তার হামিদ পবন ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি বর্তমান জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির মূল দলের কমিটির ৯ নাম্বার সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী নেতা শাহ আলম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সাম্প্রতিক সময়ে কতিপয় কু-চক্র মহল রাজধানীর মোতালিব প্লাজা দোকান মালিক সমিতির সম্ভাব্য সভাপতি পদপ্রার্থী খন্দকার আক্তার হামিদ পবন ও সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা শাহ আলম’কে নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ শাসনের পতনের পর ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্প কারখানা দোকান পার্ট শপিংমলে অরাজকতার সৃষ্টি করে।
গত ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর মোতালিব প্লাজা মার্কেটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পালিয়ে যায়।ঠিক তখননি মার্কেটি নেতৃত্ব শুন্য হয়ে যায় । নেতৃত্ব শূন্য মার্কেটির হাল ধরার জন্য এগিয়ে আসেন মোতালিব প্লাজার শপিং কমপ্লেক্স এর প্রতিষ্ঠা কালীন ব্যবসায়ী পবন ও শাহআলম।
তারা জানান,প্রতি দুই বছর অন্তর একটি কমিটি গঠনের জন্য দোকান মালিকদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও ২০০৩ সালে বাজারটি চালু করার পর আর কোনো নির্বাচন হয়নি।আওয়ামীলীগ স্বৈরাচার দোষরা থাকায় মার্কেটির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়।ক্ষমতায় থাকা দলের লোকজন সবসময় সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে থাকে বলে অভিযোগ করেছেন এই দুই ব্যবসায়ী নেতা।‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাম্প্রতিক আন্দোলনে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা জীবন উৎসর্গ করেছে। আমরা তাদের চেতনা ধরে রাখি, আমরা আমাদের কমিটি গঠনের জন্য সকল দোকান মালিকদের সহযোগিতা চাই।
সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম তালুকদার যিনি মার্কেটের পাঁচটি দোকানের মালিক মাহবুবুর, সবুজ ও শামীমের প্রতিধ্বনি করেন।দোকান মালিক দুইজন বলেন, আপনারা যারা পবন ও শাহআলম দিকে আঙ্গুল তুলছেন তাদের উদ্দ্যোশে বলতে চাই,পবন ও শাহআলম মোতালিব প্লাজায় উড়ে এসো জুড়ে বসে নি,মার্কেটির প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে তারা এই মার্কেটের ব্যবসার সাথে জড়িত,মার্কেটের সকল উন্নয়নমূলক কাজে তাদের অনেক অবদান আছে,বিগত দিন গুলোতে আপনারা চুপ ছিলেন কথা বলার স্বাধীনতা পাননি,আজ আপনারা এসব এলোমেলো কথা-বার্তা বলে মার্কেটের উন্নয়ন কাজ ব্যাহত করছেন ।আপনারা যাঁদের কথায় এতো লাফাচ্ছেন,তারা এরই মধ্য তাদের দলিয় সকল কার্যক্রম থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।যারা ক্ষমতাশীন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোষর ছিলেন,যাদের নেতৃত্বে মোতালিব প্লাজা ধ্বংসে দিকে চলে গেছে।আমরা বিশ্বাস করি অতি শীর্ঘই আপনারা আপনাদের ভুল বুজতে পারবেন।
খন্দকার আক্তার হামিদ পবন বলেন,মোতালিব প্লাজার সকল ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা সবাই জানেন আমার ভাই খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু মার্কেট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন এবং মার্কেট উন্নয়নে তার পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। সেই সুবাধে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মার্কেট থেকে পালিয়ে যাওয়ায় মোতালিব প্লাজা মার্কেট অভিভাবক শূন্য ।মার্কেটের দোকান মালিকদের অনুরোধে অভিভাবক শূন্য মার্কেটের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করতে মার্কেটের একজন পুরাতন ব্যবসায়ী হয়ে সকলের সহযোগিতায় হাল ধরার চেষ্টা করছি।বহিরাগত লোকজন মার্কেটে আনার বিষয়টি সম্পূন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
এই বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতা শাহ আলম জানান,স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পর মোতালিব প্লাজা মার্কেটের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক আওয়ামীলীগের দোষর হওয়াতে পালিয়ে যায়।ঠিক সেই সময় মোতালিব প্লাজা শপিং কমপ্লেক্সে দোকান মালিকদের অনুরোধে আমি মার্কেটের প্রবীন ব্যবসায়ী হয়ে সকলের সহযোগিতায় মোতালিব প্লাজা মার্কেটির উন্নয়ন ও সংস্কার হাল ধরার চেষ্টা করি।অভিভাবক শূন্য থাকায় মার্কেটির সকল রকম উন্নয়নমূলক কাজ গুলো বন্ধ হয়ে আছে ।উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ গুলো পূনরায় এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।
ব্যবসায়ী নেতা শাহ আলম আরো বলেন”১৬ টি বছর আপনারা কোথায় ছিলেন মার্কেটের এতো অনিয়ম দূর্নীতি দেখেও চুপ ছিলেন আজ আপনারা প্রতিবাধী হয়ে উঠলেন যাতে করে মার্কেটের উন্নয়ন তো দুরে থাক ক্ষতি করার পায়তারা করছেন বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন,মোতালিব প্লাজায় ৬০০টির বেশি দোকান রয়েছে আমার দুই(২) টি দোকান রয়েছে তারমধ্য পবন ভাইয়ের একটি দোকান রয়েছে তিনি এই মার্কেটের একজন পরিচিত ব্যবসায়ী।মোতালিব প্লাজা মার্কেট প্রতিষ্ঠা থেকে আমি মার্কেটের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে ছিলাম।মার্কেটের প্রতিটি উন্নয়নের কাজে আমি অংশ গ্রহন করেছি।