অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ একটি প্রতিনিধি দল আয়না ঘর পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সেখান থেকে কাউকে উদ্ধার করতে পারেনি। তাহলে কি প্রশ্ন জাগে না যে গুম হওয়া স্বজনরা কোথায় আছে। তাদেরকে কি শীতলক্ষায় নাকি বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করা হয়েছে? এমন প্রশ্ন তুলে ধরে কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রেসক্লাবের হল অনুষ্ঠান শেষে ভারি হয়ে ওঠে। সবার চোখে মুখে আতঙ্ক ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। গত ১২ বছর যাদেরকে গুম করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই এখনও ফিরে আসেনি। অথচ তাদের ফিরে আসার প্রতিক্ষায় যারা ছিল তাদের অনেকেই না ফেরার দেশে চলে গেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে, জাতিসংঘ, ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট ২০২৪-এর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহারের বিষয়ে একটি স্বাধীন সত্য-অনুসন্ধানী তদন্ত পরিচালনা করে এবং একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটে, মায়ের ডাক ১৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আলোচনা সভায় এসব কথা উঠে আসে। আলোচনার শিরোনাম বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক প্রেহ্মাপট।
অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন, নেত্র নিউজ এর সম্পাদক তাসনিম খলিল, মায়ের ডাক’র সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলির সভাপতিত্বে এবং মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সঞ্চালনায় বিশিষ্ট গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেলিন। ভিকটিম পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন, লাকসামে গুম হওয়া হুমায়ুন কবির পারভেজের স্ত্রী সাহানাজ আক্তার, গুম ফেরত সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের ছেলে মনোরম পলক, গুম হওয়া সোহেলের মেয়ে সাফা, গুম হওয়া কাউসার হোসেনের মেয়ে লামিয়া আক্তার মীম, গুম হওয়া পারভেজের মেয়ে আদিবা ইসলাম রিদি, পিরোজপুর থেকে গুম হওয়া নাসির উদ্দিন মন্টুর বোন মিতু আক্তার, গুম হওয়া চঞ্চলের স্ত্রী রেশমা, গুম ফেরত বেল্লাল হোসেন সহ প্রমুখ।
Leave a Reply