তারেক রহমান বার বার প্রতিনিয়ত বলছেন যে দলের নাম ব্যাবহার করে যে চাঁদাবাজি করবে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে। তারপরও শাহীন মোল্লার চাঁদাবাজি বন্ধ থেমে নেই। কেউ বাধা দিলে উল্টো তার উপর চড়াও হচ্ছে।
এছাড়াও তার তার সাথে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আপু ভূঁইয়া
ঘটনা বাস্তবতায় দেখা যায় শাহীন মোল্লা এবং আপু ভূইয়া দুজনে নেতৃত্বে ৭ নং পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে বেপরোয়া চাঁদাবাজি এবং চেয়ারম্যান মেম্বারদের সরকারি মালামাল জোরপূর্বক দখলে নিয়ে নিজের মতো করে ভোগ বিলাসিতা করে যাচ্ছে। কেউ কথা বলার কোন সাহস পাচ্ছে না, কথা বললেই যাকে তাকে মারতে উদ্ধত হয়।
ঘটনা উদ্ঘাটনে পাওয়া যাচ্ছে মারাত্মক সব অপরাধের বিবরণ বিগত কিছুদিন পূর্বে উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল সরকারি মালামালের ৫০% নিজের বলে দাবি করে। কিছুদিন পূর্বে সে সরকারি মালামালের অংশ ঠিক মত না দেওয়ায় উক্ত ইউনিয়নের রিপন মেম্বারকে চৌরাঙ্গী বাজারে আটক করে চাঁদা দাবি করে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। এ ব্যাপারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী এগুলো সাক্ষ্য দিতে সাহস পাচ্ছে না।
গত ১/২/২০২৫ তারিখে সে ইউনিয়ন পরিষদের এসে দুর্গত মানুষের জন্য কম্বলের ৫০% তার নিজের জন্য দাবি করলে মেম্বাররা শাহীন মোল্লার এমন দাবির প্রতিবাদ করলে সাথে সাথে শাহীন মোল্লা রাগান্বিত হয়ে উক্ত মেম্বারকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে আলম মেম্বারকে আঘাত করে। কিছুদিন পূর্বে সে এলাকার মানুষের জমি দখল করে অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করতে চাঁদাবাজি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও এলাকাতে বিচার-আচার সালিশের নামে মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক টাকা আদায়ের নানান ধরনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। এই শাহীন মোল্লার অপরাধের মাত্রা কোন কিছুই যেন আটকাতে পারছে না। তার এই অবৈধ অপকর্ম বন্ধ কারা দ। এলাকাবাসীর দাবি হলো অনতি বিলম্বে এই শাহীন মোল্লাকে তার পদ থেকে বহিষ্কারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ব্যবস্থা করে। অন্যথায় সামনের নির্বাচনে মানুষের কাছে ভোটের কথা বলার মুখ থাকবেনা।
মানুষ বলাবলি করছে যে যেসব অপকর্মের অপরাধে হাসিনাকে বিদায় করেছি সেসব অপকর্ম যদি বিএনপি করে তাহলে ইউনিয়নবাসী যাবে কোথায় ?
Leave a Reply