নিজস্ব প্রতিবেদক: গতকাল বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তন (তৃতীয় তলা) ঢাকা। তারিখঃ ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ রবিবার লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি এ্যাড: লাকী বাছাড়, কনভেনার (HRCBM(BD), সাথে আছেন আশিষ কুমার অঞ্জন কর্ডিনেটর, সাজেন কৃষ্ণ বল ট্রেজারার, রঞ্জন সরকার রাজশাহী বিভাগীয় কর্ডিনেটর, সুব্রত মন্ডল, খুলনা বিভাগীয় কর্ডিনেটর, ইঞ্জিনিয়ার জীবন কুমার, স্বপন বাড়ৈ, এ্যাড. নন্দ কুমার বাশফোর, তুর্য রুদ্র, হিউম্যান রাইটস এসিস্টান্ট, প্রোসেনজিৎ কুমার হালদার, এ্যাড: সুশান্ত অধিকারী প্রমুখ। হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিস (ঐজঈইগ) এবং আজ আমাদের সাথে আসা ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে আমরা এই সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গত পাঁচ ই আগস্টের পরে থেকে এখন পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের উপর চলমান নির্মম অত্যাচার অত্যন্ত ভয়াবহ ও অবর্ননীয়। জোরপূর্বক সংখ্যালঘুদের ভূমি কেড়ে নেওয়া, বাড়িঘড় লুটপাট, হত্যা, গুম, নারী ধর্ষন, অগ্নিসংযোগ, চাঁদাবাজি, চাকুরি থেকে বিচ্যুত করা, জোরপূর্বক দেশ ছাড়তে বাধ্য করা, মিথ্যা ও হয়রানি মুলক মামলা দায়ের করে ভয়ংকর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এ দেশের সংখ্যালঘুরা নাগরিকের সকল অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে বসবাস করছে। যেখানে জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। আমাদের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন মাধ্যম থেকে গত ১লা জানুয়ারি থেকে গত ২২ ফেব্রুেয়ারী ২০২৫ পর্যন্ত আমরা নারী ভিকটিম সহ ৯৪ টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের সত্যতার প্রমান পেয়েছি এবং তার সকল ডকুমেন্ট আমাদের কাছে রয়েছে। সংখ্যালঘুদের প্রানের দাবি আট দফা বাস্তবায়নের বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর, শ্রীমৎ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আইনের আড়ষ্ট না করে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সেই সাথে অন্যান্য মামলায় যে সকল নিরাপরাধ আসামিদের তালিকায় তালিকা ভুক্ত হয়ে জেলের ভিতরে তাদের কে ও নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার যে সকল আসামী বাহিরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগি বলেন “আমার ১৮৪/২০ মামলা ১৫২৬/১৭৫০ দাগের দোকান ঘর যা কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এবিএম শহিদুজ্জামান নামে চলমান আছে। এমতবস্থায় আবু সাঈদ ১৫২৩ ও ১৫২৪ দাগ ২৪ নং খতিয়ান নিজের জমি দাবী করে আমাদের কে ৪১/২৪ নং নিষেধাজ্ঞা দোকান দাবি করে ১৪ কে বিবাদী করে মামলা করে। আবার ঐ একি দাগ খতিয়ানে ৩৯/২৪ আরেকটি মামলা করে কৃষি আবাদী ভূমি বলে জেলা প্রশাসকের নামে মামলা করে। মূলত ১৫২৩ ও ১৫২৪ দাগ ২৪ নং খতিয়ান সরকারি সম্পতি মালিক জেলা প্রশাসক সাবেক মালিক রামকুমার নামে রেকর্ড আছে। আমার ১৫২৬/১৭৫০ দাগের দোকান নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও তারা তাদের জমি দাবি করে ১৯/২/২৫ তারিখে বেলা ১১ দিকে আবু সাঈদ ও তার ২ ছেলে মিজান ও আরিফসহ প্রায় ৩ শত গুন্ডা লোক নিয়ে আমার নিষেধাজ্ঞা দোকানে ও বাসায় হামলা করে। আমাদের বাসা থাকা কয়েকজন দোকান রক্ষার্থে গেলে ৭/৮ জন আহত হয় ২ জন গুরুতর আহত হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দোকান দখল করার সময় মিজান বার বার বলে এসপি অর্ডার দিসে সার্কেল এসপি অর্ডার দিছে থানা অর্ডার দিছে দোকান ঘর দখল করার জন্য। যা ভিডিও ফুটেজ এ আছে। তারা দা, হাতুড়ি, ও ড্রিলমেশিন দিয়ে আমার দোকানের তালা কেটে সাটার ভেঙেচুরে দোকান দখল করে। তারা দোকান দখলে নিয়ে তড়িত গতিতে তাদের মালামাল ঢুকিয়ে ৩ টার সয়ম সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে তাদের দোকান। থানায় মামলা করতে গেলে মামলা থানা নেয়নি।ক্ষতিগ্রস্থদের এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। এমতাবস্থায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের সঠিক ও যথাযথ বিচার বিভাগীয় তদন্ত, প্রকৃত দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিতকরণ, মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা প্রত্যাহার, আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত করে শান্ত, উন্নত ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার নিমিত্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত, সংখ্যালঘুদের অভিযোগ গুলো থানায় লিপিবদ্ধ করন নিশ্চিত করন, দোষীদের শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে এবং সকল নাগরিকের সমান অধিকার বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অভিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে ব্যাহত হবে। তাই সমাজ জাতি ও দেশের উন্নয়ন সমুন্নত রেখে সুশীল ও গঠনমূলক সমাজ গঠনে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
Leave a Reply