নাটোরের সাবেক এমপি শিমুলের গানম্যান কনস্টেবল স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী ও সন্তানের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
নাটোর সদরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের গানম্যান কনস্টেবল/৭৩১; মো: মোশাররফ হোসেন (বিপি নং, ৮১০১০২১২৭৪) তার কন্যা মালিহাকে বাবা না ডেকে আংকেল ডাকতে বলেন। কারন সে পরোকিয়ায় জড়িয়ে তাসলিমা আক্তার মাহির স্বামীকে পায়ে গুলি করে তাকে জোর পূর্বক ঘর থেকে বের করে বিয়ে করে। সেই সময় আওয়ামী লীগ মহা দাপটে থাকায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসন সহ সকল মহল নিরব ছিল। এই বিষয়ে তার স্ত্রী ফরিদা পারভীন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক এসপি সহ সাবেক এমপি শিমুলের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি, বরং নির্যাতনের মাত্রা আরো বহুগুন বেড়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ফলে তার স্ত্রীকে মেরে হাত ও দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছে, ছোট ছোট দুই সন্তান বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও চরমভাবে আঘাত করেছে। গত ৯ বছর ফরিদা পারভীন এক দুঃসহ জীবন যাপন করেছে। মা-বাবা হারা ফরিদা পারভীন আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে টাকা এনে তাকে যৌতুক দেয় এবং পরবর্তীতে নাটোরে তিন শতাংশ জায়গা নিজের গহনা বিক্রি করে ও আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা ধার করে ক্রয় করলেও প্রতারণা করে কনস্টেবল মোশাররফ নিজের নামে সম্পত্তি নিয়ে নেয়। বর্তমানে ফ্যাসিবাদের পতনের পর সে নাটোর থেকে বদলী হয়ে নওগাঁর সদরের নওহাটা পুলিশ ফাড়ীতে কর্মরত রয়েছে। সেখানকার এসপির কাছে ফরিদা পারভীন ও তার বর্তমান স্ত্রী তাসলিমা আক্তার মাহির সাবেক স্বামী মাহমুদ হাসান দীপু লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পায়নি। এই অবস্থায় ফরিদা পারভীন তার দুই সন্তান নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত তিনদিন অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
২২ মে বৃহস্পতিবার সকালে কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামী দোসর মোশাররফকে চাকুরীচ্যুত করা না হলে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, আইজিপিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, কিশোরী মালিহা এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী, এক মাস নেই তার ফাইনাল পরীক্ষা, অথচ এমন সময় যখন তার পড়ার টেবিলে থাকার কথা তখন সে অধিকার আদায়ের জন্য মায়ের সাথে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। তার ছোট ভাই আবু জার গিফারী মাত্র তৃতীয় শ্রেণেিত পড়ে, তার জীবন এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। মাদ্রাসায় গেলে তার বাবার কথা জিজ্ঞেস করলে কাউকে কোন উত্তর দিতে পারে না, এভাবে চোখের সামনে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর আমরা যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলি তারা নিশ্চুপ রয়েছে। আমি আশা করবো বাংলাদেশের সকল মানবাধিকার সংগঠন এ বিষয়ে মনোযোগী হবে।