বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা ইউনিয়ন মাঠপাড়া গ্রামে আজ ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার, শহীদ সাব্বির মল্লিকের কবর জিয়ারত করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সচিব ড. মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল রাফেল আহমেদ, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামীম বেগ, জেলা বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, বিএনপি নেতা রুনা গাজী, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম, চিতলমারি উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আহসান হাবীব ঠান্ডু, যুগ্ন আহবায়ক শরিফুল ইসলাম অপু, বিএনপি নেতা ফজলু শেখ, হিজলা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কাজী আশিকুর রহমান সহ চিতলমারী উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া ও আরো উপস্থিত ছিলেন, চিতলমারী প্রেসক্লাবে সভাপতি ইকরামুল হক মুন্সি, সহ সভাপতি এসএম শহীদুল হক টিপু ও প্রমুখ।
২০২৪ সালের ২৪ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ সাব্বির মল্লিকের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দিন তার কবর জিয়ারতের জন্য নানা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ একত্রিত হন। শহীদ সাব্বিরের বীরত্ব এবং তার আত্মত্যাগকে স্মরণ করে সেই দিনকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে পালন করা হয়।
কবর জিয়ারতের পরে সচিব ড. মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম শহীদ সাব্বিরের পিতা মোহাম্মদ শহিদুল মল্লিক ও মাতা কাকলি বেগমসহ পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে দেখা করেন। তিনি শহীদ সাব্বিরের পরিবারকে সরকারিভাবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। সচিব মহোদয় তার ভাষণে বলেন, “শহীদ সাব্বিরের পরিবারের প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে, যাতে তারা যথাযথ সম্মান ও সুবিধা লাভ করতে পারেন। তাঁর ত্যাগ দেশের জন্য চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
এছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দও শহীদ সাব্বিরের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। এ ঘটনায় চিতলমারী উপজেলা বিএনপি, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শহীদ সাব্বিরের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পরিবারকে একীভূতভাবে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে সরকারিভাবে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো না হলেও, সচিব ফরিদুল ইসলামের কথায় স্পষ্ট যে, শহীদ সাব্বিরের পরিবার কোনো দুঃখ-কষ্টের মধ্যে থাকবে না।
Leave a Reply