মোঃ মামুন: ১লা মার্চ ২০২৫ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আহ্বায়ক বি. এম আনোয়ার হোসেন, উপদেষ্টা মোঃ নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, মনির হোসেন, সদস্য সচিব মাসুম বিল্লাহ, আকরাম হোসেন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে ৩ দফা দাবি নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আহ্বায়ক বি. এম আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ৭ মাস অতিবাহিত হলেও বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যাংক স্ক্যামের হোতা এস.আলমের অন্যতম সহযোগী ইসলামী ব্যাংকের এমডি মুহাম্মদ মনিরুল মওলা সহ অসংখ্য দূর্নীতিবাজ এখনো বিভিন্ন ব্যাংক ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে আছে। যাদের নির্লিপ্ততা ও বাধার কারণে অর্থ পাচারকারী ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন প্রকারের কার্যকরী পদক্ষেপ দৃশ্যমান হচ্ছে না। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বিগত ১৬ বছরে যে মাফিয়া গোষ্ঠী ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও শেয়ার মার্কেট ফোকলা করে বাংলাদেশ থেকে ২৮ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে সেই মাফিয়াদের ডন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার ক্যাশিয়ার, ব্যাংক লুটেরা এস.আলম ২০১৭ সাল থেকে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকসহ ৮টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল করে লুটপাটের মাধ্যমে একাই পাচার করেছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ইসলামী ব্যাংক থেকেই পাচার করেছে ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক মাফিয়া ডন, বাংলাদেশের কলঙ্ক এস. আলমের মত অর্থ পাচারকারী ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকায় আমরা হতবাক ও মর্মাহত। এমতাবস্থায় দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা নীরব থাকতে পারিনা। তাই আমরা ”স্টার্ক ব্যাংকার্স ফোরাম বাংলাদেশ” এর পক্ষ থেকে সমগ্র ব্যাংকিং সেক্টরকে শক্তিশালী, গতিশীল ও পরিচ্ছন্ন করার লক্ষ্যে ৩ (তিন) দফা দাবি বাস্তবায়ণের জন্য প্রিয় দেশবাসীকে দূর্বার প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছা। আমাদের ৩ (তিন) দফা দাবীঃ ১) বিদেশে পাচারকৃত টাকা দেশে ফেরৎ আনয়ন: বিদেশে পাচারকৃত বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের কষ্টার্জিত আমানত ইসলামী ব্যাংকের ১ লক্ষ ৫ হাজার কোটি টাকাসহ ২৮ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফেরৎ আনতে হবে। ২) অর্থ পাচারকারী ও দূর্নীতিবাজদের শাস্তি নিশ্চিতকরণ: ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারের সাথে জড়িত ব্যাংক লুটেরা এস. আলম ও মনিরুল মওলাসহ দূর্নীতিবাজ মাফিয়া চক্রের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৩) অযোগ্য ও অবৈধ নিয়োগ বাতিল এবং যোগ্য ও বঞ্চিতদের মূল্যায়ণ: ইসলামী ব্যাংকের হাজার হাজার অযোগ্য ও অবৈধ নিয়োগসহ সকল সেক্টরের বিধি বহির্ভূত নিয়োগ-প্রমোশন বাতিল করে সারা দেশের যোগ্য ও বঞ্চিত তরুণদের চাকরীর সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সেই সাথে ফ্যাসিবাদের সমর্থণে গৃহীত সকল পলিসি বাতিল করে ইনসাফ ভিত্তিক পলিসি প্রণয়নের মাধ্যমে বঞ্চিত ও যোগ্যদের যথাযথ মূল্যায়ণ নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply