সাদিয়া সুলতানা: নেত্রকোনা জেলায় বিশাল এক জনসভায় আয়োজন করা হয় স্টেডিয়ামে। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান নেত্রকোনার কৃতিসন্তান। তিনি নেত্রকোনা থেকে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে। মেধা, সততা, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটিয়ে নবনিযুক্ত বিচারপতি হয়েছে। তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দেশ গড়ার সব দায়িত্ব দিয়ে বলেছেন, তাদের দায়িত্ববোধের মধ্যে মেধা, সততা ও জ্ঞান চর্চার কোন বিকল্প নেই। আমাদের দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মকে বহন করে সুনাগরিক হিসেবে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কঠিন দিক নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হবে। একজন কিশোর বা তরুণ-তরুণী তার জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ করেন তার পরিবার থেকে। পরিবার হলো পৃথিবীর সর্বপ্রথম ও সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ। তরুণ-তরুণীদের মা-বাবা ও অভিভাবকবৃন্দকে বিনীতভাবে অনুরোধ করেন যারা যেন তাদের সন্তানদেরকে সুস্থ্য, সুন্দর ও মনোরম দৃষ্টিভঙ্গি গঠনের দিকে লক্ষ্য রাখেন। দেশের গুরুত্বপূর্ণস্থান হচ্ছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাদান ও পাঠদান কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের কাছে বিশদভাবে বর্ণনা যাতে করেন সকল শিক্ষকবৃন্দদেরকে এই আবহান করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আইনের অনেক ডাল-পালার কারণে একটি ছোট মামলা থেকে অনেক মামলার সৃষ্টি এবং অনেক অনেক মামলার জন্ম হয়। একটি মামলা জজ কোর্ট থেকে হাইকোর্ট, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রীম কোর্ট আবার আপীল, রিভিউ ও নিষ্পত্তি। এসব প্রক্রিয়ার সাথে আমরা অ্যাডভোকেট, জজ সহেবেরা ও আইনপেশার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে জড়িত। এ দেশের আইনের বিভিন্ন ত্রুটিসমূহ দূর করে যুগপোযোগী আইন করা দায়িত্ব সরকারের। তিনি উপস্থিত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর প্রতি সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন।
তিনি বলেন, আইনপেশার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে জড়িত। এ দেশের আইনের বিভিন্ন ত্রুটিসমূহ দূর করে যুগপোযোগী আইন করা দায়িত্ব সরকারের। উপস্থিত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোর প্রতি সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি। রবিবার (১ অক্টোবার) সন্ধ্যায় নেত্রকোণা স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুর রহমান লিটনের সঞ্চালনায় ও পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতি ও শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জনপদ নেত্রকোণার গর্বিত মুখ প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হওয়ায় এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এসব কথা বলেন।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, সুপ্রীম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও মোস্তফা জামান ইসলাম, নেত্রকোণা-৩ আসনের সাংসদ অসীম কুমার উকিল, নেত্রকোণা-৪ আসনের সাংসদ সাজ্জাদুল হাসান, নেত্রকোণা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ হাবিবা রহমান খান শেফালী ও জাকিয়া পারভিন মনি, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) এ কে এম ফজলুল হক, নেত্রকোণার সিনিয়র জজ মো. শাহজাহান কবির ও মোহাম্মদ ইফতেখার বিন আজিজ, শেখ হাসিনা বিশ্বদ্যালয়ের উপাচার্য ড. গোলাম কবীর, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ, জজ কোর্টের জিপি বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আমিরুল ইসলাম এবং লাখো মানুষের প্রেরণা আস্থাবাজক গণমানুষের নেতা একজন সাদা মনের মানুষ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় যার দ্বারা বাস্তবে রূপান্তরিত হয়েছে নেত্রকোনা স্টেডিয়াম। আজ স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের নব নিযুক্ত বিচারপ্রতি ওবায়দুল নিবন্ধিত এছাড়াও এ নাগরিক সংবর্ধনায় হাবিবুর রহমান, নুর খান মিঠু, জিএম খান পাঠান বিমল, মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার আব্দুল মতিন, সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গসহ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply