রাজধানীর পল্লবী বাউনিয়া বাধ এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি জমি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে কসাই খলিল। মিরপুর পল্লবী বাউনিয়া বাধ এলাকায় চাঁদাবাজদের টাকা না দিয়ে কেউ কোনো ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারছেন না। বিশেষ করে ওই এলাকায় কেনা প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি কেনা ব্যক্তিরা সব থেকে বেশি ঝামেলায় পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করলেও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। যার কারণে চাঁদাবাজদের সাথে আপস করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর আপস না করলেও মারধর ও হুমকির শিকার হতে হচ্ছে। এমনকি প্লট ছাড়তেও বাধ্য হচ্ছেন অনেকে।
ভুক্তভোগী বাংলাদেশ সৈনিক কল্যান সংস্থার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, পল্লবী এলাকায় চাঁদাবাজির শীর্ষে অবস্থান করছে খলিলুর রহমান ওরফে কসাই খলিল নামে এক ব্যক্তি। একসময় গরুর গোশতের ব্যবসা করা প্রায় ষাট বছর বয়সী খলিল পল্লবীবাসীর কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। নারী-শিশুসহ হত্যা, চাঁদাবাজি, অন্যের জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অনেকে বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করলে তাদের ওপর কসাই খলিলের লোকজন হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অন্য এক ভুক্তভোগী বলেন বিভিন্ন সময় খলিল ও তার বাহিনীর সদস্যদের হাতে নির্যাতিত পরিবারের অনেকে থানায় মামলা করেও আপস করতে বাধ্য হয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য তার রয়েছে একটি বাহিনী। এই বাহিনীতে রয়েছে তার ভাই কসাই সাদ্দাম (৩২), জাহিদ (৪০), অলি হোসেন তেইল্যা (৩৫), ইয়াবা নাদিম (২৫), রাকিব (২০), ছিনতাইকারী রেজাউল (২২), দলু (৪৫), রফিক ও জব্বার ছাড়াও ২০ জনের মতো যুবক রয়েছে বলে জানা গেছে। খলিলের সহযোগী হিসেবে তার ভাই কসাই সাদ্দাম কাজ করেন। মূলত সাদ্দামই খলিলের ডান হাত।
গত শনিবার আনুমানিক বিকাল ৪ ঘটিকায় আইন উদ্দিন হায়দার ও ফয়জুন নেছা বিবি ওয়াকফ এস্টেট, ইসি নং- ৪১১/সি নিম্ন স্বাক্ষর কারী আইনউদ্দীন হায়দার ও ফয়জুন নেছা বিবি ইসি নং ৪১১/সি এর নিয়জিত ভারপ্রাপ্ত কর্মি, উক্ত সম্পত্তির গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিযুক্ত মোতাওয়াল্লী নবাব ড. খাজা ইকবাল আহসানউল্লাহ বিগত ২৫/০২/২৪ ইং মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন দাখিল করেন। যাহার নং ২২৩০/২০২৪, উক্ত রিট পিটিশনকে বিচারকদ্বয় গত ৬/০৩/২০২৪ ইং নিম্ন তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি পূর্বের রেকর্ড বাতিল পূর্বক পুনঃ সংশোধনের আদেশ প্রদান করেন এবং বিগত ৩১/০৩/২০২৪ ইং তারিখে, উক্ত সম্পত্তিতে বর্তমান মোতাওয়াল্লী ব্যতীত সকলের প্রতি স্থিতিশীল ও নিষেধাজ্ঞা আদেশ প্রদান করেন। উক্ত আদেশের প্রেক্ষিতে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তির উপর মহামান্য হাই কোর্টের নিষেধাজ্ঞার সাইন বোর্ড দেওয়া হয়। উক্ত সাইন বোর্ড ০৬/০৭/২০২৪ ইং তারিখ সময় ৪.৩০ ঘটিকায় বিবাদী খলিলুর রাহমান (একাধিক মামলার আসামি) ও এনামুল গং সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জন আমাদের সাইন বোর্ড ভাঙচুর করে। তখন আমাদের লোকজন বাধা সৃষ্টি করিলে আমাদের লোকজনদের গায়ে হাত দিয়ে আহত করে ও বিবাদী খলিল আমাদের জীবন নাশের হুমকি প্রদাণ করেন, বলে সাংবাদিকদের জানান বাংলাদেশ সৈনিক কল্যান সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্যরা ও ডিফেন্স প্রপার্টিজ( ডিপিএল) চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন।
Leave a Reply