জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধ’র পবিত্র রক্তের উপরে অর্জিত হয়েছে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে নতুন বাংলাদেশ। সেই বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য এক শ্রেণির লুটেরা ও আওয়ামী লীগের দোসররা হিন্দু সেজে শাহবাগসহ নানা জায়গায় গুজব ছড়াচ্ছে মন্দির ও সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন হচ্ছে। আর এ গুজবে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিদেশে বসে পলাতক হাসিনা সরকারের স্বঘোষিত রাজপুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়। আমরা আশা করছি অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে যারা এ ধরণের প্রপাকান্ড ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, আয়নাঘর ভেঙ্গে সেখান থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে যারা বন্দী রয়েছেন তাদেরকে মুক্ত বাতাসে তাদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে হবে এবং যারা গুম-খুনের নেতৃত্ব দিয়েছে সেই সমস্ত কুশলবদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে হবে। আমরা বিডিআর হত্যাকান্ডের নতুন তদন্ত চাই। যারা ৫৭জন সেনা অফিসারকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সেই হত্যার বিচার চাই। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে তাদের হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই এবং প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যারা আহত হয়েছে তাদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির উদ্যোগে “মন্দির ও সংখ্যালঘুদের উপর ভুয়া আক্রমনের সংবাদ কেনÑশাহবাগে ওরা কারা? স্বৈরাচার হাসিনা পুত্রের প্রপাগান্ডা ও গুজবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ” শীর্ষক নাগরিক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা’র সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন আল আমিন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন আল আমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ নুরুজ্জামান হীরা, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ দেলোয়ার হোসেন, আরজেএফ’র চেয়ারম্যান এস এম জহিরুল ইসলাম, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মফিজুর রহমান লিটন, সহ-সভাপতি এবি সিদ্দিকী, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নবী হোসেন, ছাত্র দলের ঢাকা কলেজ সহ-সভাপতি সাহাবুদ্দিন ইমন, বাংলা কলেজের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম রিয়াদ, সাংবাদিক নেতা সাইফুল ইসলাম, আ স ম আবু তালেবসহ প্রমুখ।
প্রধান বক্তা লায়ন আল আমিন বলেন, মোদি সরকার শেখ হাসিনার গদি যেমন রক্ষা করতে পারেনি ঠিক তেমনি বাংলাদেশ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে নিজের গদিও রক্ষা করতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সবাই মিলে মিশে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনূসসহ সকল উপদেষ্টামন্ডলী সদস্যকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
Leave a Reply