নিজস্ব প্রতিবেদক। ২৯ মার্চ ২০২৫ রোজ শনিবার দুপুর ০২.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এ্যাড, লাকী বাছাড়, কনভেনার HRCBM(BD)। তার সাথে আছেন আশিষ কুমার অঞ্জন কর্ডিনেটর, সাজেন কৃষ্ণ বল ট্রেজারার, HRCBM(BD), প্রোসেনজিৎ কুমার হালদার, সঞ্জয় রাহা, সনদ কুমার রায় প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজক হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিস (HRCBM) এবং উপস্থিত থাকা সকল ভুক্তভোগী পরিবার এর পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা অত্যান্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি যে গত পাঁচ ই আগষ্ট এর পরে থেকে এখন পর্যন্ত নারীদের উপর চলমান নির্যাতন ভয়াবহ রুপ ধারন করেছে। সারাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ, গণধর্ষন, যৌন হয়রানি, নির্যাতন নিপীড়ন, ধর্ষণ করে হত্যা, ধর্ষণ করে গলা কেটে ও শ্বাস রোধ করে হত্যা ধারাবাহিক ভাবে চলমান। এর মধ্যে অধিকাংশই প্রান ও লোকলজ্জার ভয়ে প্রকাশ পাচ্ছে না, আবার ধর্ষনকারীরা প্রভাবশালি হওয়ায় বিভিন্ন ভয়ভিতী দেখিয়ে মুখ বন্ধ করিয়ে দেয়। বিভিন্ন জায়গায় আমাদের প্রতিনিধিদের কাছথেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয়রা স্থানীয় ভাবে অর্থ দিয়ে সমঝোতা করে মামলা থেকে বিরত রাখছে। এতে নির্যাতনকারী আইনের জাল থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এতে নির্যাতিতা ও তার পরিবার আরো ভয় পেয়ে সংকটময় পরিস্থিরি সম্মুক্ষীন হচ্ছে।
গত ২৬/০৩/২০২৫ইং রোজ বুধবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের রুহিতপুরে আনুমানিক দুপুর ২.০০ঘটিকার সময় ভুক্তভোগী জান্নাত বাড়ির পাশের একটি পুকুরে স্নান করতে যাবার পথিমধ্যে আসামী সেলিম (৪৫) পার্শের একটি নান্নু মিয়ার ক্ষেতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে ছেড়ে দেয়। ভুক্তভোগী বাসায় এসে কান্না করলে কান্নার কারন জানায় যে তাকে একা পেয়ে আসামী সেলিম ধর্ষন করেছে। তখন ভুক্তভোগীর মা ও কাকা তাকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ঘটনা শুনে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে নিয়েগেলে তারা ভর্তী নেয়নি। তারা বলে যে মামলা না হলে আমরা ভর্তী নিবো না। তার পরে থানায় গেলে, থানা থেকে বলে আপনারা মেডিকেল রিপোর্ট না আনলে আমরা মামলা নিতে পারি না। আপনারা আগে মেডিকেলে ভর্তী করান। তার পরে মেডিকেলে গিয়ে তাদের সাথে জোরাজুরি করে ভর্তী করাতে গেলে তারা বলে ঈদের আগে কোনো কিছু হবে না। আপনারা তাকে বাড়ী নিয়ে রাখলেও যা মেডিকেলে রাখলেও তাই হবে। ভুক্তভোগী পরিবার তাকে অনেক কস্ট করে ভর্তী করায়। ভুক্তভোগীরা সংস্থার কাছে সহযোগিতা চাইলে, এইচআরসিবিএম থেকে থানায় কল দিলে মামলা নেয়। কিন্তু আসামী পক্ষ থেকে ভুক্তভোগী পরিবার কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়। এমন কি আজ সংবাদ সম্মেলন করার কথা তারা জানার পরে তারা বলে যারা যারা সংবাদ সম্মেলনে থাকবে তাদের কে বিভিন্ন মামলায় ধরিয়ে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত মেডিকেল থেকে কোনো রিপোর্ট আমরা পাইনি। এই আসামী বিগত দিনে আরো অনেক মেয়েকে ধর্ষন করেছে। কিন্তু তারা লোকোলজ্জার ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই আসামী সেলিম একটি মেয়েকে ধর্ষন করলে অর্থের বিনিময়ে মিমাংশা করে।