বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার ৪ জুন এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের উপর গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছে। এই বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই এবং এটি ধনিক শ্রেণির স্বার্থ রক্ষার একটি দলিল বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কৃষিখাতে বরাদ্দের পরিমাণ অত্যন্ত অপ্রতুল, যেখানে এই তিনটি খাতই দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবনমান নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকারি প্রণোদনার বড় অংশটি কর্পোরেট খাতে বরাদ্দ দেওয়া হলেও দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য নেই কোন কার্যকর সহায়তা বা স্বস্তির ব্যবস্থা।
অন্যদিকে, কর কাঠামোতে বৈষম্য বজায় রেখে ধনীদের করমুক্ত সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে, যেখানে ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর বোঝা আরও বাড়বে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। জ্বালানি ও পরিবহন খাতে ভর্তুকি হ্রাসের কারণে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আরও তীব্র হবে — যা ইতোমধ্যেই দ্রব্যমূল্যের চাপে বিপর্যস্ত জনগণকে চরম সংকটে ফেলবে।
এম এ আলীম সরকার আরও বলেন, এবাজেটেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। কালো টাকার মালিকরা আরও অনৈতিকভাবে অর্থ উপার্জনের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়বে। কালো টাকা সাদা করার সুযোগ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
আমরা মনে করি, এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক বৈষম্য আরও বাড়াবে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি জনগণের পক্ষে এই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে এবং বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য সরকারকে কৃষক-শ্রমিকবান্ধব বাজেট দেওয়ার জন্য পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছে।