গত সোমবার (৫ আগস্ট) ছাত্রদের গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর সহিংসতা ছড়িয়ে পরে দেশের বিভিন্ন অংশে। তবে সহিংসতা থেমে গেলেও এর মধ্যেই বহু ভুয়া পোস্ট ভারতের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দাবি করা হচ্ছে যে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে ব্যাপক অত্যাচার শুরু হয়েছে। ৫ তারিখ হাসিনা সরকার পতনের পর তার এমপি মাশরাফি বাড়ীতে জনতা আগুন লাগিদেয়, সেটাকে ভারতীয় গনমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেটার লিটন দাশের বাড়ী বলে প্রচার করে ।
পরে লিটনদাস তার ফেসবুক পেজে এটা তার বাড়ী নয় এবং তারা ভালো আছে কোনো হামলার স্বীকার হননি বলে পোস্ট করেন। এ সব পোস্টে বাংলাদেশে ইসলামী দল গুলোকে প্রশ্ন বিদ্ব করার চেষ্টা করছে। গত ১৩ আগষ্ট মংগনবার কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বসবাস কারী ইন্দু সম্প্রদায়ের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে চৌদ্দগ্রাম হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ভালো আছে। তারা সংঘালুগু নয় বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে বসবাস করে আসছে। তারা স্বাধীনতার পর থেকে কখনো নির্যাতনের স্বীকার হনন্নি।
চৌদ্দগ্রাম পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলকরার পদুয়া সুফিয়া রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিল চন্দ্র দেবনাথ বলেন আমরা ৭১ সনে স্বাধীনতার পর থেকে কখনো নির্যাতনের স্বীকার হইনি। আমরা হিন্দু মুসলিম এক সাথে বসবাস করে আসছি। ২০০১ সালে এখানে জামায়াতে ইসলামী থেকে ডাঃ আব্দুল্লাহ তাহের এমপি নির্বাচিত হয়। তার আমলেও আমরা নিরাপদে ছিলাম, ভালো ছিলাম। উনার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। উনি তখন আমাদেরকে অনেক সহযোগিতা করেছেন।
আলকরার পোটকরার বিধান চন্দ পাল, লিটন চন্দ্র পাল,, খোকন চন্দ্র পালসহ অনকে বলেন এখানে হিন্দু মুসলিম সবাই মিলেমিশে বসবাস করে। এখানে আমরা কখনো নির্যাতনের স্বীকার হয়নি।।আমরা হিন্দুরা খুব ভালো আছি। স্হানীয় জামায়াত নেতা আব্দুল্লাহ জানান আমার ওয়াডে কয়েকটা বাড়ীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করে। ৫ তারিখ হাসিনা সরকার পতনের পর সারা দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের গুজব উঠে । আমরা জামায়াত – শিবিরের লোকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘর পাহারা দিচ্ছি এবং নিরাপত্তা দিচ্ছি। এবং বাড়ী বাড়ী গিয়ে বলে আসছি কেউ যদি আপনাদেরকে ভয় দেখায় আমাদেরকে জানাবেন। আরো জানা যায় সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ সৈয়দ আব্দুল্লাহ তাহের ছোট ভাই একরামুল হক হারুন সরকার পতনের পর পরেই এলাকার স্হায়ীদের জানিয়ে দিছেন যেন কোনো সহিংসতা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন না হয় । সাবেক এমপি ডাঃ তাহের ভাতিজা সৈয়দ রাসেল জানান হাসিনা সরকার পতনের পর পরেই তার চাচা ডাঃ তাহের তাকে ঢাকা থেকে এলাকায় পাঠিয়ে দিয়েছে যেন কেউ হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের উপর নির্যাতন না করতে পারে ।
স্হায়ী জামায়াত নেতারা বলেন বিশ্বজিৎ সে দিন বার বার বলেছিলেন আমি হিন্দু আমার প্যান্ড খুলে দেখাই, কেউ তার কথা না শুনে আওয়ামী যুব লীগ, ছাত্র লীগ তাকে জামায়াত শিবির বলে পিঠিয়ে হত্যা করেছে। তখন এতো প্রতিবাদ কেউ করেনি। আজ একটি গুজব রটিয়ে যে ভাবে প্রতিবাদ করছে। আমরা জামায়াত শিবির সব সময় হিন্দুদের পাশে আছি, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছি । সব মিলে চৌদ্দগ্রামের হিন্দুরা খুব ভালো আছে, তারা সব সময় এ ভাবে ভালো থাকবেন এমন প্রত্যাশায় চৌদ্দগ্রামের জনসাধারণ।