বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির আহ্বায়ক এম এ আলীম সরকার ও সদস্য সচিব লেখক অমূল্য কুমার বৈদ্য ২৩ মে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে তথাকথিত “মানবিক করিডোর” দেওয়া এবং চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপানায় বিদেশি শক্তির প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ—এই দুইটি উদ্যোগ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য একটি গুরুতর হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
রাখাইনে সামরিক দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় বাংলাদেশ সবসময় মানবিক অবস্থান গ্রহণ করলেও, তথাকথিত আন্তর্জাতিক মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার নামে কোনো বিদেশি সামরিক বা প্রশাসনিক উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। এই ধরনের হস্তক্ষেপ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ভূখণ্ড এবং নিরাপত্তার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।
এছাড়া, দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রামের ব্যবস্থাপনায় কোনো বিদেশি সংস্থা বা রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ কেবল অর্থনৈতিক স্বার্থের জন্য নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত হুমকি ডেকে আনতে পারে। আইএমএফ-এর ঋণের জন্য এনবিআর বিলুপ্ত ঘোষণা এই ধরণের সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ ও পার্লামেন্টের সম্মতি ছাড়া গ্রহণ করা রাষ্ট্রীয় স্বার্থের পরিপন্থী।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি জোর দাবি জানাচ্ছে:
রাখাইনে মানবিক করিডোর গঠনের নামে কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ বা সামরিক উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের কৌশলগত অবকাঠামোর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থ ও জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে গোপনে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি- জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার ভূমিকা পালন করার জন্য দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।